top of page

গল্প নয় "ডকুমেন্টারি"


সন্ধ্যাটা তখনো নামে নি যখন ছেলেটা ১৫ বছর বয়সে ক্রিকেট আর ফুটবল নিয়ে সারাদিন পড়ে থাকার সাথে সাথে ছয় তারের গিটার নিয়েও পড়ে ছিল। দুরন্তপনা আর খামখেয়ালিপনা যখন কোন কিছু ছুতে পারে নি ঠিক তখনি সারাদিন কলেজ ক্যাম্পাসে দৌড়ে বেড়ানো খোলা চুলের মেয়েটি ছুয়ে ছিল। সন্ধ্যাটা তখনো নামেনি যখন বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা ফাঁকিবাজ ছেলেটি কলেজে না যাওয়ার ফন্দি আটছিল, কে জানতো কেউ একজন ছাতা নিয়ে এসে বলবে ক্লাসে যাবা না? ক্লাস কর না কেন? পড়তেও তো আসো না? কি সমস্যা? পড়া বুঝো না? সিট নাই? আমার কাছে এক্সট্রা সিট আছে লাগলে নিও! বাই দ্যা ওয়ে সিগারেট খাচ্ছিলা? আই হেট ইট বুঝছ? খাবা না এগুলা। ও হ্যা নাম্বারটা নিয়া যাও ক্লাস নোটস বা স্যারের সিট এ কোন প্রব্লেম ফেস করলে ফোন দিও।

পড়তে বসে প্রব্লেম খুঁজে বের করা,ফোন দেয়া বা আস্তে আস্তে ক্লোজ হওয়ার ব্যাপারটা দুজনই টের পাচ্ছিলো। কারো দিক থেকে হয়ত কোন বাধা ছিল না, অবাধ্য এই বয়সের গন্ডি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে বাধা চলে আসাটা আনএক্সপেক্টেড হতে পারে। কিন্তু অধিকার খাটানো গোলাপি ঠোঁটের ছোঁয়ায়ও ছেলেটার ঠোট কালো হওয়ার গল্পটা অলিখিত....। সেদিনের দৌড়ের গন্ডিটা হয়ত ছিল শুধু কলেজ ক্যাম্পাসটুকুই, কিন্তু এই দৌড় যে নিকোটিন হয়ে ঠোট বেয়ে আস্তে আস্তে ফুসফুসে বা নাক চেপে খাওয়া দুর্গন্ধী মদ হয়ে অনুভূতি গুলোকে অবোস করে, এস্ট্রে রাখা ছাই হয়ে জীবনের সাথে মিশে যাবে তাও হয়ত জানা ছিল না। সেই যে খামখেয়ালিপনাকে গাইড করতো সেই কিনা খামখেয়ালিপনায় মিশে বেলা বারোটায় ওঠা ছেলেটিকে সকালের রোদ দেখিয়ে ডিরেক্ট সন্ধ্যায় পাঠিয়ে দিবে তাও তো জানা ছিল না। কে জানে ওইদিন ইগো না থাকলে সন্ধ্যাটা টেনেটুনে বিকেল করা যেত কিন্তু তখন আর সময় ছিল না গভীর রাত হয়ে যাওয়ার ভয়টা তখন তীব্র থেকে তীব্রতর ছিল....।

সন্ধ্যাকে পুঁজি করে বেচে থাকা ছেলেটাও যখন সকাল হওয়ার স্বপ্ন দেখে তখন সুন্দর বনের সিংহ হোক 😜 আর অসম্ভবকে সম্ভব করে হোক,চাইলে সুখি হওয়া যায় চাওয়াটা পিওর হলেই হল....। হয়ত চাওয়া অনুযায়ী প্রাপ্তি না মিললবে না কিন্তু অসুখকে সুখ বানিয়ে জীবনে সুখি তাকতে পাড়াটাই জীবন।

bottom of page